সাওবান রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত: তিনি বলেন: রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম সালাতের সালাম ফিরানোর পর তিনবার (ইস্তিগফার) ক্ষমা প্রার্থনা করতেন, তারপর এ দু’আ পড়তেন: اللَّهُمَّ أَنْتَ السَّلَامُ، وَمِنْكَ السَّلَامُ، تَبَارَكْتَ ذَا الْجَلَالِ وَالْإِكْرَامِ
অর্থাৎ হে আল্লাহ! আপনিই সালাম। আপনার পক্ষ থেকেই শান্তি। আপনি বরকতময়, হে মহামহিম ও মহা সম্মানিত। বর্ণনাকারী ওয়ালিদ রহ. বলেন, আমি আওযা‘ঈ রহ.কে জিজ্ঞেস করলাম: ইসতিগফার কীভাবে করব? তিনি বললেন: তুমি এভাবে বলবে: أَسْتَغْفِرُ اللهَ، أَسْتَغْفِرُ اللهَ অর্থাৎ হে আল্লাহ! আমি আপনার নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করছি, হে আল্লাহ! আমি আপনার নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করছি।
সহীহ
এটি মুসলিম বর্ণনা করেছেন।
জাবির রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে বলতে শুনেছি, “বান্দা এবং শিরক ও কুফরের মধ্যে পার্থক্য হচ্ছে সালাত ছেড়ে দেয়া”।
সহীহ
এটি মুসলিম বর্ণনা করেছেন।
আবূ সা‘ঈদ খুদরী রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, একবার ঈদুল আযহা অথবা ঈদুল ফিতরের সালাত আদায়ের জন্য আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম ঈদগাহের দিকে যাচ্ছিলেন। তিনি মহিলাদের পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় বললেন, হে মহিলা সমাজ! তোমরা সাদকাহ করতে থাক। কারণ, আমি দেখেছি জাহান্নামের অধিবাসীদের মধ্যে তোমরাই অধিক। তারা জিজ্ঞেস করলেন, কী কারণে, হে আল্লাহর রাসূল? তিনি বললেন, তোমরা অধিক পরিমাণে অভিশাপ দিয়ে থাক, আর স্বামীর অকৃতজ্ঞ হও। বুদ্ধি ও দীনের ব্যাপারে ত্রুটি থাকা সত্ত্বেও একজন সদাসতর্ক ব্যক্তির বুদ্ধি হরণে তোমাদের চেয়ে পারদর্শী আমি আর কাউকে দেখি নি। তারা বললেন, আমাদের দীন ও বুদ্ধির ত্রুটি কোথায়, হে আল্লাহ্র রাসূল? তিনি বললেন, একজন মহিলার সাক্ষ্য কি একজন পুরুষের সাক্ষ্যের অর্ধেক নয়? তারা উত্তর দিলেন, ‘হ্যাঁ’। তখন তিনি বললেন, এ হচ্ছে তাদের বুদ্ধির ত্রুটি। আর হায়েয অবস্থায় তারা কি সালাত ও সিয়াম থেকে বিরত থাকে না? তারা বললেন, ‘হ্যাঁ।’ তিনি বললেন, “এ হচ্ছে তাদের দীনের ত্রুটি।”
সহীহ
মুত্তাফাকুন ‘আলাইহি (বুখারী ও মুসলিম)।
আবূ হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “আরোহী পায়ে হাঁটা ব্যক্তিকে, পায়ে হাঁটা ব্যক্তি বসে থাকা ব্যক্তিকে এবং অল্প সংখ্যক লোক অধিক সংখ্যক লোককে সালাম দিবে।”
সহীহ
মুত্তাফাকুন ‘আলাইহি (বুখারী ও মুসলিম)।
আবূ হুরাইরাহ রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু হতে মারফূ‘ হিসেবে বর্ণিত: “যে ব্যক্তি কোনো সৎপথের দিকে আহবান করবে, সে তার অনুসরণকারীদের সমান নেকী পাবে। এটা তাদের নেকীসমূহ থেকে কিছুই কম করবে না। আর যে ব্যক্তি কোনো ভ্রষ্টতার দিকে আহবান করবে, তার উপর তার সমস্ত অনুসারীদের গোনাহ চাপবে। এটা তাদের গোনাহ থেকে কিছুই কম করবে না।”